ঐতিহ্যবাহী বরমী বাজার এবং বরমীর বানর এর ইতিহাস ও বর্তমান চিত্র

খলিলুর কাদেরীঃ ঐতিহ্যবাহী বরমী বাজার এবং এই বরমী বাজারের ইতিহাসের সাথে শুরু থেকেই মিশে আছে এ বাজারে বিচরণকৃত বানরের ইতিহাসও। রাজধানীর পাশে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার এই বরমী বাজারে এক সময় প্রচুর বানরের বসবাস ছিল। বরমী বাজারেরও রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। আজকে আমরা জানবো বানর সম্পর্কে। তার আগে অনুরোধ থাকবে আমাদের ইউটিউভ চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইভ এবং ফেসবুক পেজটি ফলো করার।

এখনো যদি আমাদের দূর দূরান্তের আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হয় যারা অনেকদিন যাবত এই এলাকায় আসে না; তাদের কাছ থেকে সবচেয়ে সুন্দর ও আকর্ষণীয় আলোচনা হয় এই বানরের নিয়েই। বানর নিয়ে সেই গল্প-ইতিহাস শুনলে মুগ্ধ হতে হয়।

এক সময় হয়তো আজকের এই দৃশ্যও অতীত-ইতিহাস হয়ে যাবে, আজকের মানুষেরা কয়েক যুগ পরে এই বানর নিয়ে গল্প-ইতিহাস বুনবে। তখন হয়তো এই বানরগুলো থাকবে না অথবা এর সংখ্যা আরো কমে যাবে। কারণ আগের তুলনায় বর্তমানে বানরের সংখ্যা অনেক কম ও দিন দিন আরো কমে যাচ্ছে।

অতীতে এই বরমী বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় ঘন বসতি কম থাকায় বন-জঙ্গলে অনেক ফল ফলাদি থাকতো এবং সাধারণ মানুষও বানরগুলোকে খাবার প্রদান করতো। বর্তমানে ঘনবসতি হওয়ায় বানরের থাকার যায়গাও কমে যাচ্ছে।  অনেক রাতেও দেখা যায় এরা ঘুমানোর স্থান খুজছে। আগে এখানে অনেক বানর থাকায় দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ আসতো বানর দেখার জন্য এবং বানরের জন্য খাবারও নিয়ে আসতো বিধায় সেগুলো খেয়ে এবং এলাকার মানুষের দেয়া খাবার খেয়ে বানর গুলো জিবীকা নির্বাহ করতো। বরমী ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান বাদল সরকার জিবিত থাকার সময় দেখা যেতো প্রায় সময় বানরগুলোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতেন।

অতীতের ইতিহাস সুন্দর থাকলেও বর্তমানের ইতিহাস এখন আর সুন্দর নেই কারণ খাবারের অভাবে মানুষকে নানাভাবে অত্যাচার করে এই বানরেরা। ক্ষুধার যন্ত্রণায় আশেপাশের মানুষের বসতবাড়িতে হানা দেয় প্রতিনিয়ত; ঘরের খাবার চুরি করে নেয়া থেকে শুরু করে কৃষকদের ফসল নষ্ট করে ফেলে এরা। সুযোগ পেলে বাজারের অনেক দোকানে ঢুকেও নষ্ট করে এবং খেয়ে ফেলে দোকানের জিনিস। এদেরকে আঘাত করলে অনেক সময় দল বেধে আক্রমণও করে মানুষকে। ফলে অনেকে গোপনে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলে অনেল বানর। অন্যদিকে প্রায় সময় এলোমেলো বিদ্যুতের তারের সাথে শক লেগেও মারা যায় অনেক বানর। তবে বর্সতমানে বচেয়ে বেশী মারা যাচ্ছে খাবারের অভাবেই। বর্তমানে বরমী মানবকল্যান ফাউন্ডেশন সহ অনেকের উদ্যোগে প্রায় সময় বানরগুলোকে খাবার দিয়ে থাকে তবে এই খাবার এদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

বানরগুলোর জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করা হলে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে প্রকৃতির অন্যতম সম্পদ এই বানরগুলো এবং কারো ক্ষতিও করবে না এরা। এদেরকে আঘাত না করলে এরা কখনোই কার প্রতি হিংশ্র হয় না। কথা ও ভিডিও সংগ্রহ করছিলাম মোঃ খলিলুর রহনান। ভিডিওটি ভালো লাগলে একটি লাইক দিবেন এবং শেয়ার করবেন আপনার বন্ধুদের সাথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *