উসমান গাজীর সাদাসিধা জীবন (পর্ব ০১)

উসমান গাজি আজীবন তাঁর মালিকানাধীন কিছু ছাগলের উৎপাদন (দুধ, দই, পনির ও মাখন ইত্যাদি) থেকে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। নতুন নতুন শহর জয়ের পর সেখানকার বাজারগুলো পরিদর্শন করতে গিয়ে বাজারের বাজ/ট্যাক্স গ্রহণের প্রস্তাব তিনি কখনোই মানতে পারেননি। একইভাবে বিভিন্ন মোসাহেবি উপঢৌকনও তিনি গ্রহণ করার পরিপন্থী ছিলেন। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে, যা তাঁর প্রাপ্য নয় সেদিকে হাত বাড়ানোর ক্ষেত্রে উনি কতটা স্পর্শকাতর ও হুঁশিয়ার ছিলেন। এই নশ্বর জীবনের ঠুনকো চাহিদার পেছনে ছুটে না চলার দৃঢ় মনোবল প্রকাশ পায় তাঁর এই চরিত্রের মধ্যে।

তাঁর মৃত্যুর পরে রেখে যাওয়া সম্বলের মধ্যে স্বর্ণ ও রূপার উপস্থিতি না থাকাটা তাঁর খোদাভীতি ও অনাড়ম্বর জীবন সম্পর্কে ধারণা দিতে যথেষ্ট। ঐতিহাসিক নথিপত্র অনুযায়ী তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তির তালিকায় যা ছিল তাঁর কয়েকটি হচ্ছে—
* সেলাই করা একটি নতুন জামা যেটাকে বলা হতো “সরত্বক তাকলাসি”।
* ঘোড়ার পাশে ঝুলিয়ে রাখার থলে যেটাকে তুর্কি ভাষায় “ইয়ানজাগি” বলা হতো।
* একটি লবণদানি।
* একটি কাঠের তলোয়ারের খাপ।
* লম্বা একজোড়া বুট জুতা।
* কয়েকটি উন্নতজাতের ঘোড়া।
* তিনটি ছাগল, যা মেহমানদের আপ্যায়নের জন্য পালিত হচ্ছিল।
* কয়েক প্রস্থ দেনিযলি তুলার কাপড়।
* ঘোড়ার ঢাল।
* ইকশহীরের বুননে তৈরি কয়েকটি লাল পতাকা।
* তরবারি।
*বর্ষা ও এররকম আরও কিছু যুদ্ধাস্ত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *