গাজীপুরের ভাওয়াল চাঁদপুর ও আমার মধুময় স্মৃতি
চাঁদপুর বাজার গাজীপুর জেলার মধ্যভাগে অর্থাৎ কাপাসিয়া উপজেলার সর্বোত্তরে অবস্থান এই বাজারের... কাপাসিয়া বাজার থেকে দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। পুরো নাম ভাওয়াল চাঁদপুর একই ইউনিয়ও। এরপরেই কালিগঞ্জ উপজেলা শুরু... এই ইউনিয়ন এর সাথে ভাওয়াল নামটি যুক্ত হওয়ার পিছনে হয়তো ভাওয়াল রাজা বা ভাওয়াল শাসকদের কোন স্মৃতি জড়িয়ে আছে...
এই ভাওয়াল চাঁদপুর কে আমরা চানপুর বলেই ডাকতাম অর্থাৎ এই বাজারের পূর্বদিকে ঘাটকুরি বাজার এবং ঘাটকুরি বাজারের পরেই একটি গ্রাম, গ্রামের নাম কামড়া... সেই কামড়া গ্রামে আমার নানির বাড়ি... ছোটবেলার কথা বলছি, বছরে দুবার নানির বাড়ি যাওয়ার সুযোগ হতো... কোন কোন বছরে একবার অর্থাৎ শুধুমাত্র ঈদর সময়ে।
আমার বাড়ি শ্রীপুরের বরমীতে... শ্রীপুর থেকে বেবি/টেক্সিতে যাওয়া হতো সেসময় এই রোডে যানবাহন বলতে এই দুটো জানবাহনই ছিল... ২০ থেকে ২৫ বছর আগের আলোচনা। এই সম্পূর্ণ রাস্তাটাই আমার কাছে স্মৃতিময়, এখনো সময় পেলে একাই বেড়িয়ে পড়ি এই রাস্তা দেখবো বলে, আর চানপুর বাজারে গেলে তো আমার নি:স্বাস ভাড়ি হয়ে যায়, কতো মধুর স্মৃতি লেগে আছে এখানে! আহ: ছোটবেলার একমাত্র স্মৃতি নানির বাড়ি... যখন চানপুর পর্যন্ত চলে আসতাম, মনেহতো পরিপূর্ণ শান্তির যায়গায় চলে এলাম। পুরোটা বছরই তো শুধু এখানে আসার জন্যই অপেক্ষা করতাম।
ঈদে নানা-নানি, মামা-মামি, খালা-খালু সহ আমরা সকল ভাই-বোন একসাথে হতাম! মা-খালারা ১০ ভাই-বোন ছিল কতো বিশাল এক পরিবার একসাথে হতো; সাথে যুক্ত হতো নানীর অন্যান্য স্বজনরাও কতো বিশাল এক মেলা জমতো এখানে... কামরার ফয়েজ মনজিলে! সে মনজিল আজ নিস্তব্ধ.. হয়তো আর মেলা জমবে না এখানে, তবও যখনি সময় পাই চলে যাই সেদিকে; সেদিকের রাস্তা-ঘাট আমার চিরচেনা। গতো সপ্তাহেও একা একলাই ফয়েজ মনজিল ঘুরে আসলাম, জানে না কেউ... যতোবার সুযোগ হবে ততোবারই যাবো নানা-নানি ও মামাদের কবর জিয়ারতে যাবো।