বাংলার ইতিহাস

 ১২৮৭ সালে পুত্র ভারতের (দিল্লীর)এবং পিতা ছিলেন বাংলার (লখনৌতির)সুলতান।

তখন বাংলা নামের দেশ বা সিংহাসন ছিলনা।
এখানে বাংলা বলতে বুঝিয়েছি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় অবস্থিত ঐ সময়ের লখনৌতি সিংহাসনকে।
দিল্লীর সিংহাসনের সুলতান না হয়ে স্বেচ্ছায় বাংলার(লখনৌতির) গভর্নরের পদকেই বেছে দিয়েছিলেন বুগরা খান(নাসির উদ্দিন মাহমুদ)।
উনার বাবা গিয়াসউদ্দিন বলবন ১২৬৬-১২৮৭ পর্যন্ত ছিলেন দিল্লীর সুলতান।
১২৮৫ সালে বলবনের সবচেয়ে যোগ্য ছেলে মুলতান এলাকায় মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে শহীদ হয়ে যায়।
এরপর অসুস্থ সুলতান দিল্লীতে ডেকে পাঠান অন্য একমাত্র জীবিত পুত্র বাংলার/লখনৌতির গভর্নর বুগরা খানকে।
দুই মাস দিল্লীতে থেকে সুলতানের অনুমতি ছাড়াই বাংলায়/লখনৌতিতে চলে আসেন বুগরা খান।
নিরুপায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন দিল্লীর সিংহাসনের জন্য বুগরা খানের ছেলে অর্থাৎ নিজের নাতিকে মনোনীত করেন।
দিল্লীর সুলতান বলবন মারা গেলে বুগরা খান লখনৌতির স্বাধীনতা ঘোষণা করে সুলতান হিসেবে সিংহাসনে বসেন।
অন্যদিকে দিল্লীর সিংহাসনে বসে নিজের ১৮ বছর বয়সী ছেলে ছেলে কায়কোবাদ।
দিল্লীর উজিরের চক্রান্তে শীঘ্রই পিতা-পুত্র তথা দিল্লী বনাম লখনৌতি যুদ্ধের মাঠে মুখোমুখি হয়।
সৌভাগ্যক্রমে কোন প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই তাদের মাঝে মিল হয়ে যায়।
আজ এতটুকুই।
এসব কাহিনী ভিডিওর মাধ্যমেও উপস্থাপনা করার ইচ্ছা আছে। (NAZIB MAFFUZ KHAN)
Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url